শতায়ু হওয়ার কৌশল রপ্ত করছে কানাডায় বাংলাদেশীরা

ডেস্ক: কৃষিবিদ ড. নুরুন নাহার তাঁর উপস্থাপনায় জাপানীদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনেকেই সবজি, ফলমূল চাষের সাথে জড়িত থাকায় তাদের কারো কারো বয়স শত বছরের উর্ধ্বে।  গত শনিবার টরন্টোর ড্যানফোর্থ এভিনিউস্থ এক্সেস পয়েন্টে কানাডিয়ান সেন্টার ফর ইনফরমেশন এন্ড নলেজ আয়োজিত ‘কানাডায় দেশীয় সবজি চাষের উপকারিতা’ বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি আরো বলেন, চাষ করে সবজি খাওয়ার আনন্দটাই আলাদা। নিজেকে সুস্থ রাখার একটি অন্যতম প্রক্রিয়া হচ্ছে বাগান ও সবজি চাষের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখা। বিশেষ করে বয়স্কদের মধ্যে যাঁরা ডিমেনশিয়া, ডায়াবেটিস ও ব্লাডপ্রেসার-এ ভুগছেন তাঁরা সবজি চাষের মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখতে পারেন।

ছবি: সিবিএন

টরন্টো ও এর পাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সবজি চাষে আগ্রহী বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার ৩৬জন  অংশ নিয়েছিলেন এই সেমিনারে। শত বছর বাঁচার আগ্রহে তের বছরের মাইশা মাহবুবও সেমিনারে এসেছিলেন মা বাবার সাথে। দারুণ উপভোগ করেছেন সেমিনারটি। মূল্যায়নে মাইশা লিখেছেন, ‘এমেজিং’।

কানাডিয়ান সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ইমাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে মূল তথ্য উপস্থাপন করেন এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি এগ্রিকালচারিস্ট ইন কানাডা (আবাকান) এর সেক্রেটারি ড. নুরুন নাহার খানম। আর অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন একই সংগঠনের প্রেসিডেন্ট কৃষিবিদ কামাল মোস্তফা হিমু।

কানাডিয়ান সেন্টারের উপদেষ্টা আসমা আহমেদ বলেন, ‘এই সেমিনারটি আমার কাছে অত্যন্ত ভাল লেগেছে। ভবিষ্যতে তিনি এ ধরনের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের পরামর্শ দেন’।

সেমিনারে অংশগ্রহণকারী সৈয়দ মনজুর আলি বলেন, ‘আমাদের কমিউনিটিতে এ ধরনের কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তা অনেক’।

কানাডিয়ান সেন্টারের এ বিষয়ক পরবর্তী সেমিনার  আগামী ২২ জুন একই ভেন্যুতে বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবে।

অংশগ্রহণে আগ্রহীরা cciktoronto@gmail.com এই ই-মেইলে যোগাযোগ করে নাম নিবন্ধন করতে পারবেন।

সূত্র: সিবিএন